Wednesday, July 29, 2015

সিরিজ জয়ে চোখ মুশফিকের

Share it Please
টিম বাসে ওঠার আগে একটি সামাজিক উদ্যোগে অংশ নিতে বাংলাদেশ দলের সবাইকে ফটো সেশনে দাঁড়াতে হলো। ছবি তুলতে গিয়ে নাসির হোসেনের কী এক কথায় হাসি ছড়িয়ে পড়ল সবার মধ্যেই। আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় নিশ্চয় একটা সুখী পরিবারের ছবিই ধরা পড়ল। কেবল ক্ষণিকের জন্যই নয়, বাংলাদেশ দল এখন এমনই ফুরফুরে। আত্মবিশ্বাসের রসদটা পরিপূর্ণ বলেই কিনা অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম সিরিজ জয়েই রাখছেন চোখ।
টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর দল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এর আগে নয়বার মুখোমুখিতে সাতবার ইনিংস পরাজয়ের ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। টাইগারদের সবচেয়ে বড় সাফল্য হয়ে এসেছে চট্টগ্রাম টেস্ট। বৃষ্টিবিঘ্নিত ড্র হলেও প্রথম তিন দিন প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে আধিপত্য এই টেস্টকে দিয়েছে অন্যমাত্রাই। ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর আধিপত্য বজায় রেখে বৃষ্টি-বিঘ্নিত টেস্ট ড্রয়ের পর সব পরিসংখ্যানকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে সিরিজ জয়ে চোখ রাখছেন আত্মবিশ্বাসী মুশফিকুর রহিম। আজ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, ‘পাঁচ দিন আমাদের ভালো খেলতে হবে। বিষয়টা এমন নয়, আমরা প্রথম দিনেই ম্যাচ জিতে যাব। এটা পাঁচ দিনের খেলা। পুরো পাঁচ দিনই আমাদের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। এটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ও সুযোগও। যেহেতু এক নম্বর দলের বিপক্ষে খেলছি, সুযোগটা আসলে সেখানেই। তাদের বিপক্ষে জেতার তাৎপর্য অনেক বড়। গত টেস্টে আমরা প্রতিটি সেশনেই দাপট দেখিয়ে খেলেছি। সে দিক দিয়ে লক্ষ্য তো অবশ্যই ভালো করা। আমাদের বোলিং ইউনিটের ক্ষমতা আছে ওদের ২০ উইকেট নেওয়ার। সেটা করতে পারলে ফলাফলটা ভালো হতে পারে। ভালো ফলাফলটা আপনারা নিশ্চয় জানেন। বাংলাদেশ ১-০ ব্যবধানে সিরিজটি জিততেও পারে।’
চট্টগ্রামের উইকেটের সঙ্গে ঢাকার উইকেটের পার্থক্য তো থাকবেই। তবে পার্থক্যটা এখনো পরিষ্কার নয়। উইকেট তৈরিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি। তবে সব মিলিয়ে অধিনায়কের চাওয়া স্পোর্টিং উইকেটই, ‘আবহাওয়ার কারণে উইকেট হয়তো কিউরেটর তাঁর ইচ্ছেমতো উইকেট বানাতে পারেননি। ১০-১২ দিন উইকেট কাভারের নিচে ছিল। ফলে কাজ করার সময়-সুযোগ খুব একটা পাওয়া যায়নি। তারপরও যা হয়েছে, সেটা নিয়েই আমরা খুশি। উইকেটের ওপর কারও হাত নেই। আশা করছি, উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য সুবিধাজনক হবে। একই সঙ্গে চাইব পেসারদের জন্যও কিছু থাকে। এখানে মাটি অন্য রকম। এসজি বলে পেসাররা ভালো করবে, স্পিনাররাও কিছু পাবে। সব মিলিয়ে একটা স্পোর্টিং উইকেটেই খেলা হবে।’
দলের সমন্বয়টা এখনই বলা কঠিন। তবে খুব বেশি পরিবর্তনের আভাস দিলেন না মুশফিক। কাল সিরিজের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রাম টেস্টের একাদশই বজায় থাকার জোর সম্ভাবনা, ‘এ উইকেটে আমাদের সমন্বয়ে খুব বেশি পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয় না। কারণ, শেষ টেস্টে যে একাদশ খেলেছে, সবাই যার যার জায়গায় ভালো খেলেছে। সে দিক থেকে চিন্তা করলে পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। আবার আমাদের যেহেতু পাঁচজন স্পিনার আছে, একজন পেসার বা ব্যাটসম্যান একাদশে ঢুকেও যেতে পারে। আপাতত পরিবর্তনের কোনো চিন্তা নেই।’
চট্টগ্রাম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অলআউটের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল মুস্তাফিজুর রহমানের। টেস্ট অভিষেকেও দুর্দান্ত বোলিং করে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। অসাধারণ বোলিং করেছিলেন আরেক পেসার মোহাম্মদ শহীদও। মুশফিকের প্রত্যাশা, মুস্তাফিজ-শহীদ একই ধারা বজায় রাখবেন ঢাকা টেস্টেও, ‘গত কয়েক ম্যাচ ধরে মুস্তাফিজ যেটা করে যাচ্ছে, সেটাই যেন বজায় রাখতে পারে। কেবল সে নয়, শহীদও খুব ভালো বোলিং করেছে। আশা করব, দুজন যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে সেটা যেন ধরে রাখে। আর তাদের দারুণ বোলিংয়ে যেন আমাদের স্পিন বিভাগও সহায়তা পায়।’

0 comments:

Post a Comment