ব্যাট আর বলের খেলা ক্রিকেট। কিন্তু
বিশ্বব্যাপী আধুনিকায়নের ছোঁয়ায় বারবারই প্রভাবিত হয়েছে ক্রিকেট। অন্য
সবকিছুর কথা বাদই দেয়া যাক। যে পোশাক তথা জার্সি পরে মাঠে নামেন
খেলোয়াড়েরা, তাতেই কি কম পরিবর্তন এসেছে যুগে যুগে?
একটা সময় ছিল যখন পুরোদস্তুর সাদা পোশাকে
মাঠে নামতেন ক্রিকেটারেরা। তাই কোন দলের জার্সিতে বিশেষ কোন বিশেষায়ণের
সুযোগ ছিল না। কিন্তু তারপর এক সময় ক্রিকেটারদের জার্সি হল রঙিন। সীমিত
ওভারের ক্রিকেটে খেলোয়াড়েরা মাঠে নামতে শুরু করলেন রঙিন জার্সি পরে।
আর তখন থেকেই শুরু এক নতুন পথচলার। ব্যাট
বলের প্রতিযোগিতার পাশাপাশি নতুন প্রতিযোগিতার দামামা বাজল মাঠের বাইরেও –
কোন দেশ কত সুন্দর করে জার্সি তৈরি করতে পারে। কোন দেশের জার্সি কতটা হয়ে
উঠতে পারে সেই দেশের পরিচয়ের ধারক ও বাহক। এই কাজে অনেকেই সফল হয়েছে। অনেকে
আবার দৃষ্টিকটুভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তবে বিশ্বায়নের এই যুগে দেশভেদে
নানাদেশের জার্সির বৈচিত্র্যতাই নজর কেড়েছে বেশি।
কিন্তু এখন যদি কেউ প্রশ্ন তোলে, কোন
দেশের জার্সি ছিল সেরা, তবে উত্তর কোনটা হবে? সৌন্দর্যকে ঠিক যুক্তি দিয়ে
মাপা যায় না। সৌন্দর্যের দর্শন একেকজনের কাছে একেকরকম। যার যেটা ভাল লাগে।
তবু অধিকাংশের মতামত নির্দ্বিধায় বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
তাই কোন দেশের জার্সি সেরা, সে বিচারের ভার ইএসপিএন ক্রিকইনফো
ছেড়ে দিয়েছিল সাধারণের হাতেই। শুধু প্রাথমিকভাবে ১৭ টি নাম তারা বেছে
দিয়েছিল মনোনীতদের তালিকায়। সে তালিকায় ছিল ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের
জার্সিটিও। এবং মজার বিষয়, সিংহভাগ মানুষই তাদের রায়ে সেরা ঘোষণা করেছে এই
জার্সিটিকেই। সুতরাং গণতান্ত্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে ২০১৫ সালের বাংলাদেশের
জার্সিটিই কিন্তু বিবেচিত হয় সর্বকালের সেরা হিসেবে! এ ব্যাপারে জার্সি
ডিজাইনার সেজান লিংকন বিডিক্রিকটিম ডট কমের প্রতিনিধিকে বলেন, “এখানে আমি
আসল তৃপ্তিটা খুঁজে পেয়েছি”। জার্সির প্রতি মানুষের পাগলের মতো ভালোবাসা
দেখেও তিনি অভিভূত।
এ জার্সিটি ডিজাইন করেছিলেন সেজান লিংকন
যাতে থিম হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছিল লাল সবুজের সমারোহে বাংলাদেশের প্রকৃতির
সাথে সুন্দরবনের অহংকার রয়েল বেঙ্গল টাইগারের এক অনিন্দ্য সুন্দরের মিশেল।
0 comments:
Post a Comment