Sunday, July 26, 2015

মুস্তাফিজের অনন্য ইতিহাস

Share it Please
ক্রিকেটের দুই ফরম্যাটে অভিষেকে সেরা হওয়ার কীর্তি আছে কেবল আরেকজন ক্রিকেটারের। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অভিষেকে ম্যান অব দা ম্যাচ হয়েছিলেন ইলিয়াস সানি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আঙিনায় আবির্ভাবেই একের পর এক চমক উপহার দিতে থাকা মুস্তাফিজ আরও একবার উঠলেন নতুন উচ্চতায়। গত ১৮ জুন ওয়ানডে অভিষেকে ভারতের বিপক্ষে ৫০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে যাত্রা শুরু টেস্টের ভুবনে। এবার ৫ উইকেট পাননি। তবে অভিষেকে প্রথম বাংলাদেশী বোলার হিসেবে নিয়েছেন এক ওভারে ৩ উইকেট। পরে ইনিংসের শেষ উইকেটটিও নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে মুড়ে দিয়েছেন আড়াইশর নিচে।
বৃষ্টিতে শেষ দুই দিন খেলা না হওয়ায় ড্র টেস্টে ব্যাটে-বলে ভালো করেছেন বেশ কজনই। তবে সবচেয়ে বেশি আলো ছড়িয়েছেন অভিষিক্ত মুস্তাফিজই। ৩৭ রানে ৪ উইকেট তাকে এনে দিয়েছে ম্যাচসেরার সম্মান। আর তাতেই ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রথম টেস্ট ও ওয়ানডে অভিষেকে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হলেন কোনো ক্রিকেটার।

আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের যে কোনো দুই ফরম্যাট ধরলে মুস্তাফিজের আগে ছিলেন শুধু সানি। ২০১১ সালে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বের অভিষেকের ম্যাচে এই চট্টগ্রামেই  ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংনে ৯৪ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন সানি। সেই টেস্টেরও দুই দিন গিয়েছিল বৃষ্টির পেটে। প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে এগিয়েছিল বাংলাদেশ, বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শেষ পর্যন্ত হয়েছিল ড্র। ম্যাচসেরা হয়েছিলেন সানি।

ওই বছরই ওয়ানডে অভিষেকে সানি পেয়েছিলেন ১ উইকেট। তবে আবার চমকে দেন তিনি টি-টোয়েন্টি অভিষেকে। ২০১২ সালে জুলাইয়ের বেলফাস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে এখনও সেটি বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।

সানি ও মুস্তাফিজ ছাড়া টেস্ট অভিষেকে বাংলাদেশের হয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন আর কেবল দুজন। দুজনই ব্যাটসম্যান এবং সেই দুজনও গড়েছিলেন ইতিহাস। ২০০১ সালের এপ্রিলে বুলাওয়েতে টেস্ট অভিষেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৬২ রান করেছিলেন জাভেদ ওমর বেলিম, দ্বিতীয় ইনিংসে আদ্যন্ত ব্যাট করে ৮৫ রান করে হয়েছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। আর সবচেয়ে কম বয়সে শতক করে মোহাম্মদ আশরাফুলের ম্যাচ সেরা হওয়ার ঘটনা প্রায় সবারই জানা।

টেস্ট ক্রিকেট ১৮৭৭ সাল থেকে শুরু হলেও টেস্টে ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার নিয়মিত দেওয়া শুরু হয়েছে ১৯৮০-এর দশকে।

0 comments:

Post a Comment