Wednesday, July 29, 2015

কালো ব্যাচ বেঁধে টাইগারদের সাথে শেষ টেস্ট খেলবেন আমলারা

আর কয়েক ঘণ্টা পরেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট খেলতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। শেষ টেস্টে ভিন্ন চেহারায় প্রতিপক্ষকে পাচ্ছেন টাইগাররা।

শিরোপা জয়ের এই টেস্ট ম্যাচটিতে উড়ে এসেছে ভিন্ন প্রবাহ। শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা দেশটির ক্রিকেট নায়কের মৃত্যুতে শোকাহত নয়। বাংলাদেশ টিমেও শোকের ছায়া।

বৃহস্পতিবার মিরপুর স্টেডিয়ামে ক্লাইভ রাইসের মৃত্যুশোক নিয়ে মাঠে নামবেন দক্ষিণ আফ্রিকা। মিরপুর স্টেডিয়ামে দেখা যেতে পারে সাদা পোশাকের সাথে কালো ব্যাচ ধারন করে শেষ টেস্টে মাঠে নামছেন টাইগাররা।

শোককে শক্তিতে পরিণত করতে পারলে মাঠের পরিস্থিতি জটিল আকার ধারন করবে। ক্রিকেটের পরিসংখ্যান বলে মৃত্যুশোক শক্তিতে রুপান্তনিত হয়। তবে উজ্জ্বীবিত বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে এই টেস্টেও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট উপহার দিবে এটা ধরেই নেয়া যায়।
6:56 AM

রুবেলকে বোল্ড আউট করে দিলেন হ্যাপি!

নতুন করে আবার প্রেমে পড়েছেন আলোচিত-সমালোচিত বিতর্কিত মডেল অভিনেত্রী নাজনিন আক্তার হ্যাপি। তবে নতুন করে তিনি কার প্রেমে পড়েছেন? সেটা খোলাসা না করলেও ঘটনাটি সত্যি বলেই তিনি দাবী করেছেন।

হ্যাপি তার ফেসুবকে ১৫ ঘণ্টা পূর্বে (নিউজ লেখার সময় ৪.৫০মিনিট) এক স্ট্যাটাস দিয়ে জানান, ‘রুবেলকে বোল্ড আউট করে দিলাম’ ! তার ঠিক ৭ঘন্টা পর আরো একটি স্ট্যাটাসে তিনি জানান তার প্রেমে পড়ার খবরটি।

পরের স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘প্রেমে পড়েছে, মন পড়েছে!
অচেনা এক মানুষ আমায় পাগল করেছে! বি: দ্রঃ ঘটনা কিন্তু সত্য’!

এদিকে ওই দু’টি স্ট্যাটাসের পর হাজারো লাইক ও পক্ষে-বিপক্ষে বেশ কিছু মন্তব্য পড়ে। এর মধ্যে জীবন খান নামে তার এক ফেসবুক বন্ধু তার এই সিদ্ধান্তটি সঠিক নয় বলে দাবী করে লেখেন রুবেল আবার ফিরবে’।

জীবনের এমন মন্তব্যে হ্যাপি লিখেন, রুবেলের বিয়ে হয়ে গেছে তুমি জানো না? সে আমাকে কখনোই ভালোবাসেনি। ওর সবই ছিলো অভিনয়। - See more at: http://bangla.mtnews24.com/post.php?id=56438&page=4#sthash.LIOCoS2B.dpuf
নতুন করে আবার প্রেমে পড়েছেন আলোচিত-সমালোচিত বিতর্কিত মডেল অভিনেত্রী নাজনিন আক্তার হ্যাপি। তবে নতুন করে তিনি কার প্রেমে পড়েছেন? সেটা খোলাসা না করলেও ঘটনাটি সত্যি বলেই তিনি দাবী করেছেন।

হ্যাপি তার ফেসুবকে ১৫ ঘণ্টা পূর্বে (নিউজ লেখার সময় ৪.৫০মিনিট) এক স্ট্যাটাস দিয়ে জানান, ‘রুবেলকে বোল্ড আউট করে দিলাম’ ! তার ঠিক ৭ঘন্টা পর আরো একটি স্ট্যাটাসে তিনি জানান তার প্রেমে পড়ার খবরটি।


পরের স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘প্রেমে পড়েছে, মন পড়েছে!
অচেনা এক মানুষ আমায় পাগল করেছে! বি: দ্রঃ ঘটনা কিন্তু সত্য’!

এদিকে ওই দু’টি স্ট্যাটাসের পর হাজারো লাইক ও পক্ষে-বিপক্ষে বেশ কিছু মন্তব্য পড়ে। এর মধ্যে জীবন খান নামে তার এক ফেসবুক বন্ধু তার এই সিদ্ধান্তটি সঠিক নয় বলে দাবী করে লেখেন রুবেল আবার ফিরবে’।

জীবনের এমন মন্তব্যে হ্যাপি লিখেন, রুবেলের বিয়ে হয়ে গেছে তুমি জানো না? সে আমাকে কখনোই ভালোবাসেনি। ওর সবই ছিলো অভিনয়।
6:48 AM

মনোযোগ ধরে রাখাও মুশফিকদের বড় চ্যালেঞ্জ

টানা ক্রিকেট খেলছে বাংলাদেশ। গত বছরের শেষ দিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজের পর থেকে খেলার মধ্যেই আছেন মুশফিকরা। কিছুটা হলেও মনোযোগে তাই ব্যঘাত ঘটতেই পারে তাদের। এর আগেও দেখা গেছে, সিরিজের শেষ ম্যাচে এসে ছন্দ হারিয়ে বসেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকায় শুরু হতে যাওয়া টেস্টের আগে তাই মুশফিকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো মনোযোগ বিষয়ে। তিনি জানান, এই ম্যাচে মনোযোগ ধরে রাখাটাও তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। একই সাথে অধিনায়ক জানিয়েছেন, সেই চ্যালেঞ্জটা জয়ের জন্য প্রস্তুত তার দল।

মুশফিক বলেন, ‘অতীতে হয়তো এমন হয়েছে। সিরিজের শেষ দিকে এসে আমাদের মনোযোগে ব্যঘাত ঘটেছে। এ বিষয়টি আমাদের মাথায় আছে। সবাইকে বলা হয়েছে, টেস্ট পাঁচ দিনের খেলা। এখানে সাফল্যের জন্য প্রতিটি দিনই ধারাবাহিকভাবে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’

টেস্ট অধিনায়ক নিজেদের মানসিক দৃঢ়তার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা তিনটি ম্যাচ হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আমরা যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি, তা আমাদের মানসিক সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে। এ ছাড়া গত টেস্টেও আমরা তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে খেলেছি। তারপরও টেস্টে মনোযোগ ধরে রাখা আমাদের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ। আমরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবলেরার জন্য প্রস্তুত আছি।’
মুশফিক মনে করেন, ঢাকা টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ ভালো খেলে প্রমাণ করতে পারবে যে, তারা কতোটা এগিয়েছে। ঢাকা টেস্টটি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের দশম টেস্ট। এর আগে খেলা নয় টেস্টের মাত্র একটিতে ড্র করেছে বাংলাদেশ। সেটাও এই সিরিজের প্রথম টেস্টে। এ ছাড়া আগের আট টেস্টের প্রতিটিতেই হারতে হয়েছে।

5:58 AM

সেরা দশটি দলের পরিবর্তিত পয়েন্ট, চ্যাম্পিয়ান ট্রফি খেলবে যারা

২০১৭ সালে একটি হাইভোল্টেজ আসরের আয়োজন করতে যাচ্ছে ক্রিকেটের অভিভাবক তথা নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠান আইসিসি।

চ্যাম্পিয়ান ট্রফিতে কে থাকছে কে ছিটকে যাচ্ছে এ নিয়ে রহস্যর কোনো শেষ ছিলনা। তবে এর সমাধান পাওয়া গেল এবার। আর প্রথম বারের মত এখানে চমক টাইগারদের। সর্বশেষ আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে সেরা দশটি দল হলো।

দেশ                  রেটিং পয়েন্ট
১.অস্ট্রেলিয়া                   ১২৯
২.ভারত                        ১১৫
৩.নিউজিল্যান্ড               ১১২
৪.দক্ষিণ আফ্রিকা            ১০৯
৫.শ্রীলঙ্কা                       ১০৩
৬.ইংল্যান্ড                    ৯৮
৭.বাংলাদেশ                   ৯৬
৮.পাকিস্তান                  ৯০
৯.ওয়েস্ট ইন্ডিজ           ৮৮
১০.আয়ারল্যান্ড            ৫০

আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ের এই সেরা দশটি দলের মধ্যে শীর্ষ ৮ টি দেশ আইসিসির চ্যাম্পিয়ান ট্রফি খেলবে। দুইবারের বিশ্বকাপজয়ী দেশ হলেও ছিটকে যেতে হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। অন্যদিকে উদীয়মান হলেও আয়্যারল্যান্ড রয়েছে এ স্বপ্ন দেখার দিক থেকে অনেক দূরে।

গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেটে জাদু দেখাতে শুরু করে। জিম্বাবুয়ে ও পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ। অন্যদিকে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে জয় পাওয়ায় চ্যাম্পিয়ান ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ।
5:57 AM

কেমন হবে ঢাকা টেস্টের দল?

চট্টগ্রাম টেস্টে দুই পেসারের সাথে দুজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে মাঠে নেমেছিলো বাংলাদেশ। ঢাকায় কেমন হবে দল? বুধবার দ্বিতীয় টেস্ট সামনে রেখে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তিনি জানিয়েছেন, দলে কোনো পরিবর্তনের চিন্তা নেই। তবে শেষ মুহূর্তে কোনো পরিবর্তন এলেও আসতে পারে। 
মুশফিক বলেন, ‘এই উইকেটে আমাদের কম্বিনেশনে খুব বেশি পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয় না। কারণ শেষ টেস্টে যে একাদশ খেলেছে, সবাই যার যার জায়গায় ভালো খেলেছে। সে দিক থেকে চিন্তা করলে পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম।’
সম্ভাবনা যে একেবারে নেই, তা বলেননি মুশফিক। তার পরের মন্তব্যটি ছিলো এ রকম, ‘আবার আমাদের যেহেতু পাঁচজন স্পিনার আছে সে দিক থেকে চিন্তা করে একজন পেসার বা একজন ব্যাটসম্যান সেরা একাদশে ঢুকেও যেতে পারে। যদি আমরা আরো চিন্তা করি, সে ক্ষেত্রে হয়তো এই পরিবর্তনটা আসবে । আপাতত অবশ্য পরিবর্তনের কোনো চিন্তা নেই।’

5:53 AM

সিরিজ জয়ে চোখ মুশফিকের

টিম বাসে ওঠার আগে একটি সামাজিক উদ্যোগে অংশ নিতে বাংলাদেশ দলের সবাইকে ফটো সেশনে দাঁড়াতে হলো। ছবি তুলতে গিয়ে নাসির হোসেনের কী এক কথায় হাসি ছড়িয়ে পড়ল সবার মধ্যেই। আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় নিশ্চয় একটা সুখী পরিবারের ছবিই ধরা পড়ল। কেবল ক্ষণিকের জন্যই নয়, বাংলাদেশ দল এখন এমনই ফুরফুরে। আত্মবিশ্বাসের রসদটা পরিপূর্ণ বলেই কিনা অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম সিরিজ জয়েই রাখছেন চোখ।
টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর দল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এর আগে নয়বার মুখোমুখিতে সাতবার ইনিংস পরাজয়ের ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। টাইগারদের সবচেয়ে বড় সাফল্য হয়ে এসেছে চট্টগ্রাম টেস্ট। বৃষ্টিবিঘ্নিত ড্র হলেও প্রথম তিন দিন প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে আধিপত্য এই টেস্টকে দিয়েছে অন্যমাত্রাই। ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর আধিপত্য বজায় রেখে বৃষ্টি-বিঘ্নিত টেস্ট ড্রয়ের পর সব পরিসংখ্যানকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে সিরিজ জয়ে চোখ রাখছেন আত্মবিশ্বাসী মুশফিকুর রহিম। আজ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, ‘পাঁচ দিন আমাদের ভালো খেলতে হবে। বিষয়টা এমন নয়, আমরা প্রথম দিনেই ম্যাচ জিতে যাব। এটা পাঁচ দিনের খেলা। পুরো পাঁচ দিনই আমাদের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। এটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ও সুযোগও। যেহেতু এক নম্বর দলের বিপক্ষে খেলছি, সুযোগটা আসলে সেখানেই। তাদের বিপক্ষে জেতার তাৎপর্য অনেক বড়। গত টেস্টে আমরা প্রতিটি সেশনেই দাপট দেখিয়ে খেলেছি। সে দিক দিয়ে লক্ষ্য তো অবশ্যই ভালো করা। আমাদের বোলিং ইউনিটের ক্ষমতা আছে ওদের ২০ উইকেট নেওয়ার। সেটা করতে পারলে ফলাফলটা ভালো হতে পারে। ভালো ফলাফলটা আপনারা নিশ্চয় জানেন। বাংলাদেশ ১-০ ব্যবধানে সিরিজটি জিততেও পারে।’
চট্টগ্রামের উইকেটের সঙ্গে ঢাকার উইকেটের পার্থক্য তো থাকবেই। তবে পার্থক্যটা এখনো পরিষ্কার নয়। উইকেট তৈরিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি। তবে সব মিলিয়ে অধিনায়কের চাওয়া স্পোর্টিং উইকেটই, ‘আবহাওয়ার কারণে উইকেট হয়তো কিউরেটর তাঁর ইচ্ছেমতো উইকেট বানাতে পারেননি। ১০-১২ দিন উইকেট কাভারের নিচে ছিল। ফলে কাজ করার সময়-সুযোগ খুব একটা পাওয়া যায়নি। তারপরও যা হয়েছে, সেটা নিয়েই আমরা খুশি। উইকেটের ওপর কারও হাত নেই। আশা করছি, উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য সুবিধাজনক হবে। একই সঙ্গে চাইব পেসারদের জন্যও কিছু থাকে। এখানে মাটি অন্য রকম। এসজি বলে পেসাররা ভালো করবে, স্পিনাররাও কিছু পাবে। সব মিলিয়ে একটা স্পোর্টিং উইকেটেই খেলা হবে।’
দলের সমন্বয়টা এখনই বলা কঠিন। তবে খুব বেশি পরিবর্তনের আভাস দিলেন না মুশফিক। কাল সিরিজের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রাম টেস্টের একাদশই বজায় থাকার জোর সম্ভাবনা, ‘এ উইকেটে আমাদের সমন্বয়ে খুব বেশি পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয় না। কারণ, শেষ টেস্টে যে একাদশ খেলেছে, সবাই যার যার জায়গায় ভালো খেলেছে। সে দিক থেকে চিন্তা করলে পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। আবার আমাদের যেহেতু পাঁচজন স্পিনার আছে, একজন পেসার বা ব্যাটসম্যান একাদশে ঢুকেও যেতে পারে। আপাতত পরিবর্তনের কোনো চিন্তা নেই।’
চট্টগ্রাম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অলআউটের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল মুস্তাফিজুর রহমানের। টেস্ট অভিষেকেও দুর্দান্ত বোলিং করে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। অসাধারণ বোলিং করেছিলেন আরেক পেসার মোহাম্মদ শহীদও। মুশফিকের প্রত্যাশা, মুস্তাফিজ-শহীদ একই ধারা বজায় রাখবেন ঢাকা টেস্টেও, ‘গত কয়েক ম্যাচ ধরে মুস্তাফিজ যেটা করে যাচ্ছে, সেটাই যেন বজায় রাখতে পারে। কেবল সে নয়, শহীদও খুব ভালো বোলিং করেছে। আশা করব, দুজন যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে সেটা যেন ধরে রাখে। আর তাদের দারুণ বোলিংয়ে যেন আমাদের স্পিন বিভাগও সহায়তা পায়।’
5:42 AM

‘কিপিং ছাড়ার প্রশ্নই ওঠে না’

ভাবনাটা ভালোই জেঁকে বসেছে তাঁর ওপর। দলের সুসময়ে মুশফিকুর রহিমের মুখে ভেসে বেড়াচ্ছে এক টুকরো কালো মেঘ! ব্যাটে বড় ইনিংস নেই অনেক দিন ধরেই। চোটের কারণে উইকেটের পেছনে দাঁড়ানোও হচ্ছে না নিয়মিত। সময়টা বড্ড খারাপ যাচ্ছে মুশফিকের। এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজের হতাশা লুকালেন না বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক।
বিশ্বকাপের দারুণ পারফরম্যান্স ধরে রেখেছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও। প্রথম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরির পর ৬৫ রানের কার্যকরী ইনিংস। সিরিজের শেষ ম্যাচে অপরাজিত ৪৯। এরপরই খেই হারিয়ে ফেললেন মুশফিক। পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে পাওয়া আঙুলের সেই চোট যে তাঁকে এতটা ভোগাবে কে ভেবেছিল!
ব্যাট না হেসে ওঠার ক্ষেত্রে চোটকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করানো অযৌক্তিকই মনে হতে পারে অনেকের। মুশফিকও চোটকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চাননি। তবে কখনো কখনো জানিয়েছেন, চোটটা বেশ ভোগাচ্ছে। ক্রিকেটে সামান্য চোটও অনেক সময় ব্যাটসম্যানদের বড় মানসিক বাধা হয়ে দাঁড়ায়। মুশফিকের ক্ষেত্রে কি সেটিই ঘটেছে?
উত্তরটা সঠিক না জানা গেলেও পরিসংখ্যান কিন্তু চোখে আঙুল দিয়েই তাঁর বেহাল দশা স্পষ্ট করছে। টেস্টে মুশফিকের সর্বশেষ ছয় ইনিংস-৩২,০, ১২,০, ২ ও ২৮। ওয়ানডেতে যে মুশফিক মানেই দারুণ ইনিংসের প্রতিশ্রুতি, সেই তিনি এ সংস্করণেও হয়ে গেলেন নিষ্প্রভ। ৬ ম্যাচে ২৩.২৫ গড়ে ৯৩ রান। সর্বোচ্চ ৩১। অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ দুটি ওয়ানডেতে ব্যাট করতে হয়নি তাঁকে। ক্রিকেটের তিন সংস্করণ হিসাব করলে সর্বশেষ ১২ ইনিংসে একটি ফিফটিও নেই মুশফিকের। গত বছর আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের তৃতীয় ওয়ানডে থেকে এ বছর এপ্রিলে পাকিস্তান সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেটে ২৫ ইনিংসে মুশফিকের গড় ৫১.৮৬। সেখানে সর্বশেষ ১২ ইনিংসে মুশফিকের গড়টা নেমে এসেছে ১৬.৯১-এ। এ সময়ে রান মোট ২০৩।
শেষ কটি ইনিংস দেখলে স্পষ্ট, থিতু হয়ে ফিরে আসছেন সাজঘরে। কখনো আউট হচ্ছে প্রিয় স্লগ সুইপেও। চট্টগ্রাম টেস্টের শেষ দিনেও বলেছিলেন, ‘যদি ব্যাটে বল না লাগত তাহলে ভিন্ন কিছু চিন্তা করতে পারতাম। সেটা তো ঠিকই আছে। কিন্তু ইনিংসটাকে বড় করতে পারছি না।’
আজও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে কথা উঠল সংবাদ সম্মেলনে। হতাশা প্রকাশ করেই মুশফিক বললেন, ‘যেকোনো ব্যাটসম্যান কিংবা বোলারের ইচ্ছা থাকে দলের প্রয়োজনে অবদান রাখা। শেষ কটা টেস্ট যেভাবে চেয়েছি, সেভাবে খেলতে পারিনি। স্বাভাবিকভাবে সবার জন্যই এটা হতাশার। ব্যক্তিগতভাবে আমিও হতাশ।’
তবে মুশফিক আপাতত স্বস্তি খুঁজে নিচ্ছেন দলের সাফল্যে। দল যতই ভালো করুক, ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ভালো না হওয়ায় একটা খচখচানি মনে কিন্তু থেকেই যায়। সেই অস্বস্তি দূর করতে মরিয়া মুশফিক, ‘দল ভালো খেলছে। এটা আমার জন্য স্বস্তির। আমি খারাপ খেললেও দল ভালো খেলছে, এ জায়গায় কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি। তবে দলের জন্য শতভাগ দেওয়ার চেষ্টাই থাকবে। নিজের ইনিংসটা বড় করার চেষ্টা করব। যদি সেটা দলের উপকারে আসে।’
অস্বস্তি কেবল উইকেটের সামনে নয়, পেছনেও। তাঁর চোটের কারণে ভারতের বিপক্ষে ফতুল্লা টেস্ট, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডেতে উইকেটরক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন লিটন দাস। চট্টগ্রাম টেস্টেও উইকেটের পেছনে ছিলেন লিটন। আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া ঢাকা টেস্টেও উইকেটের পেছনে দেখা যাবে লিটনকেই।
বিষয়টা সাদা চোখে কোনো গুরুতর সমস্যা নয়। তবে গভীরভাবে দেখলে একজন নিয়মিত উইকেট রক্ষকের জন্য সমস্যাও বটে। বিষয়টি স্বীকার করেই স্বরূপে ফিরতে প্রত্যয়ী মুশফিক, ‘হ্যাঁ, কালকের ম্যাচেও উইকেটকিপিং করা হচ্ছে না। চেষ্টা করব ফিরে আসার। আমার প্রথম কাজই কিপিং। আঙুলের যে অবস্থা, এখনো শতভাগ সেরে ওঠেনি। তাড়াতাড়ি সেরে ওঠার চেষ্টা থাকবে। কেউ কি সহজে কিছু ছেড়ে দেয় নাকি? আমার তো প্রশ্নই ওঠে না। যদি দলের সমন্বয়ের কারণে হয় সেটা একটা ভিন্ন ইস্যু। ব্যক্তিগতভাবে ব্যাটিংয়ের চেয়ে কিপিং আমি বেশি উপভোগ করি। কাজেই এটা ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’
5:41 AM

Tuesday, July 28, 2015

বাংলাদেশের যে বিষয়টিতে চরমভাবে অসন্তুষ্ট আমলা বাহিনী

প্রায় এক মাস হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের বাংলাদেশে আসার। ক্রিকেটের পাশাপাশি বাংলাদেশের রুপ রস উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছেন তারা। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজের ফলাফল বুঝে পেয়েছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দুটি টেস্টের প্রথম টেস্টটি বৃষ্টির খলনায়কত্বে ড্র হওয়ায় ঢাকা টেস্টে জয় পেতে মরিয়া দুই পক্ষই।

একদিকে বৃষ্টির কারণে ম্যাচ ড্র অন্যদিকে মাঠে নেমে নিজেদের মত করে অনুশীলন করার সুযোগ পাচ্ছে না দুই দল। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা বাংলাদেশের বৈরী আবহাওয়া নিয়ে মুখ খুলেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা কিছুতেই মানতে চাননা যে ড্র হলেও বাংলাদেশ প্রথম টেস্টে এগিয়ে। আফ্রিকান অধিনায়ক আমলার পরে দেশটির ওপেনার ব্যাটসম্যান ডিন এলগারও বলেন, প্রথম টেস্টে আমরাই এগিয়ে ছিলাম।

এ যুক্তি হিসাবে তিনি দাঁড় করান, দ্বিতীয় ইনিংসে তার ও ককের অপরাজিত থাকার প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, আমরা নিশ্চই বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে ঘুরে দাঁড়াতাম। অন্যদিকে হামিম আমলাও এ প্রসঙ্গে এর আগে কথা বলেন, তিনি আরো একটু বাড়িয়ে বলেছেন। আমলা বলেছিলেন, আমাদের টেস্ট জয়ের সুযোগ ছিল।

প্রথম টেস্টের সময় বৃষ্টির হানায় যেন একযোগে অসন্তুষ্ট আফ্রিকান শিবির। দ্বিতীয় টেস্টেও বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হতে পারে বলে শঙ্কা আফ্রিকান শিবিরের। আশঙ্কার সাথে এ বিষয়ে চরমভাবে অসন্তুষ্ট তারা।

ওয়ানডেতে ভালো না করায় অন্যদিকে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে পরাস্ত হওয়ান ডেল স্টেইনও বলেন মধুর প্রতিশোধের কথা। কিন্তু নিজেদের খাবার পারফর্ম নিয়ে নিজেরা যেমন বিরক্ত তেমনি বৈরী আবহাওয়ায় ম্যাচ মাঠে না গড়ানোর শঙ্কায় আফ্রিকানরা। - See more at: http://bangla.mtnews24.com/post.php?id=57214&page=3#sthash.5FDfzW9X.dpuf
প্রায় এক মাস হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের বাংলাদেশে আসার। ক্রিকেটের পাশাপাশি বাংলাদেশের রুপ রস উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছেন তারা। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজের ফলাফল বুঝে পেয়েছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দুটি টেস্টের প্রথম টেস্টটি বৃষ্টির খলনায়কত্বে ড্র হওয়ায় ঢাকা টেস্টে জয় পেতে মরিয়া দুই পক্ষই।

একদিকে বৃষ্টির কারণে ম্যাচ ড্র অন্যদিকে মাঠে নেমে নিজেদের মত করে অনুশীলন করার সুযোগ পাচ্ছে না দুই দল। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা বাংলাদেশের বৈরী আবহাওয়া নিয়ে মুখ খুলেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা কিছুতেই মানতে চাননা যে ড্র হলেও বাংলাদেশ প্রথম টেস্টে এগিয়ে। আফ্রিকান অধিনায়ক আমলার পরে দেশটির ওপেনার ব্যাটসম্যান ডিন এলগারও বলেন, প্রথম টেস্টে আমরাই এগিয়ে ছিলাম।

এ যুক্তি হিসাবে তিনি দাঁড় করান, দ্বিতীয় ইনিংসে তার ও ককের অপরাজিত থাকার প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, আমরা নিশ্চই বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে ঘুরে দাঁড়াতাম। অন্যদিকে হামিম আমলাও এ প্রসঙ্গে এর আগে কথা বলেন, তিনি আরো একটু বাড়িয়ে বলেছেন। আমলা বলেছিলেন, আমাদের টেস্ট জয়ের সুযোগ ছিল।

প্রথম টেস্টের সময় বৃষ্টির হানায় যেন একযোগে অসন্তুষ্ট আফ্রিকান শিবির। দ্বিতীয় টেস্টেও বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হতে পারে বলে শঙ্কা আফ্রিকান শিবিরের। আশঙ্কার সাথে এ বিষয়ে চরমভাবে অসন্তুষ্ট তারা।

ওয়ানডেতে ভালো না করায় অন্যদিকে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে পরাস্ত হওয়ান ডেল স্টেইনও বলেন মধুর প্রতিশোধের কথা। কিন্তু নিজেদের খাবার পারফর্ম নিয়ে নিজেরা যেমন বিরক্ত তেমনি বৈরী আবহাওয়ায় ম্যাচ মাঠে না গড়ানোর শঙ্কায় আফ্রিকানরা।
3:51 AM

হতে পারে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজ!

আগামী অক্টোবর মাসে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে আসবে অস্ট্রেলিয়া। বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা টাইগারদের বিপক্ষে কেবল টেস্ট সিরিজই খেলবে- এমনটাই বলসে আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্ল্যান। তবে নতুন খবর, অস্ট্রেলিয়ার আসন্ন বাংলাদেশ সফরে আয়োজন করা হতে পারে ওয়ানডে সিরিজও!
ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলেই চলতি বছরের বিশ্ব আসরের শিরোপা জিতে ৪ বছরের জন্য বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অপরদিকে একদিনের ক্রিকেটে এই মুহূর্তে নিজেদের ইতিহাসের সেরা সময় পার করছে বাংলাদেশ। সব মিলে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে লড়াইটা যে ধ্রুপদী হবে, এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই কারো। তবে পূর্বনির্ধারিত টেস্ট সিরিজটি ধ্রুপদী লড়াইয়ের অপেক্ষায় থাকা ক্রিকেটপ্রেমিদের অপেক্ষাকে দীর্ঘায়িতই করছে শুধু।
তবে ক্রিকেটপ্রেমিদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে এবার নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড- বিসিবি। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া- সিএ’এর সাথে আলোচনা সাপেক্ষে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সাথে ওয়ানডে সিরিজ আয়োজন করতে চায় তারা। সফরে টেস্ট সিরিজের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া যেন ওয়ানডে সিরিজও খেলে, এজন্য অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিএ’কে শীঘ্রই বাংলাদেশ বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরে আলোচনা সাপেক্ষে কি ওয়ানডে সিরিজ আয়োজন করা সম্ভব? এমন প্রশ্নের জবাবে সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘এখানে বসে এসব বললে হবে না। দুবাইয়ে যে আইসিসি মিটিং আছে, ওখানে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ব্যাপারে আলাপ হবে।’ অজিদের সহজেই ওয়ানডে সিরিজের প্রস্তাবে রাজী করানো যাবে- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে পাপন বলেন, ‘যেহেতু দুটি টেস্ট আছে, ওয়ানডে খেলানোর জন্য রাজি করানো খুব কঠিন হবে না; যদি ওদের উইন্ডো ওপেন থাকে। আমরা চাইলাম, কিন্তু ওদের খেলার মতো ফ্রি সময় থাকলো না, তা তো হবে না। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো। আশা করি আমাদের প্রস্তাবে রাজী হবে’।
এদিকে সমর্থকদের কাছে ‘তিন মোড়ল’ হিসেবে পরিচিত অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও ইংল্যান্ড বাংলাদেশের ক্রিকেটের পাশে আছে জানিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, সৌহার্দ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের লড়াকু পারফরমেন্স এখন টাইগারদের মর্যাদা ঐ তিন দেশের কাছে আরও সমুন্নত করবে, ‘অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত- যারা ক্রিকেটে এগিয়ে আছে, এই তিনটা বোর্ড সব সময় বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাশে ছিলো… এখনও আছে। আগে ওদের কাছে গেলে মনে হতো আমাদের ফেভার করছে। কিন্তু এখন এরকম পারফরমেন্সের পর ওদের সামনে বুক ফুলিয়ে দাঁড়াতে পারবো।’

3:31 AM

নেপালকে সাহায্যের ম্যাচে রাজ্জাক-সোহাগ

জাতীয় দলে নেই বলে সময়টা মাঠের বাইরেই কাটছে আবদুর রাজ্জাক ও সোহাগ গাজীর। তবে আগামী মাসের শুরুতে দুজনই হয়তো সুযোগ পাবেন মাঠে নামার। ৯ আগস্ট কুয়ালালামপুরের কিনরারা একাডেমি মাঠে নেপাল জাতীয় দলের সঙ্গে একটা প্রীতি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বিশ্ব একাদশ। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ওই ম্যাচে বিশ্ব একাদশের হয়ে খেলার আমন্ত্রণ পেয়েছেন বাংলাদেশের এই দুই স্পিনার।
গত ১২ মে ভয়াবহ এক ভূমিকম্পে প্রায় পুরো নেপালই লন্ডভন্ড হয়ে যায়। নিহত হয় প্রায় ৯ হাজার মানুষ। আহতের সংখ্যা অনেক বেশি। নেপালের মানুষ এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে সেই বিভীষিকাময় স্মৃতি। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত নেপালিদের সাহায্যার্থেই মূলত প্রীতি ম্যাচটি আয়োজন করতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া। ম্যাচ থেকে অর্জিত অর্থ জমা দেওয়া হবে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে।
ম্যাচে নেপালের হয়ে তাদের জাতীয় দলই খেলবে। বিশ্ব একাদশ গড়া হবে সাবেক-বর্তমান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের নিয়ে। প্রীতি ম্যাচের বাইরে ওই সময় কুয়ালালামপুরে একটি চ্যারিটি ডিনারও হওয়ার কথা।
3:28 AM

অন্যভাবে ভাবছেন ইমরুল



বৃষ্টি শেষ পর্যন্ত ড্র করে দিল চট্টগ্রাম টেস্ট। নইলে ফলাফল হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনাই ছিল। বাংলাদেশ জিতত, নয়তো দক্ষিণ আফ্রিকা। ইমরুল কায়েসের অবশ্য ফলাফল নিয়ে চিন্তা নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে পারাটাকেই বড় প্রাপ্তি মনে করছেন বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি ওপেনার।
‘ওরা বিশ্বসেরা দল। তাদের সঙ্গে ভালো খেলতে পারলে বোলার-ব্যাটসম্যান সবারই আত্মবিশ্বাস বাড়বে। ফলাফল পরের ব্যাপার। আমার মনে হয় এদের সঙ্গে টেস্ট খেললে অন্য দলগুলোর সঙ্গে খেলাটা আরও সহজ হয়ে যাবে’—মিরপুরে কাল অনুশীলন শেষের সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে এসে বলছিলেন ইমরুল।
টেস্ট র্যা ঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল দক্ষিণ আফ্রিকা। বোলারদের র্যা ঙ্কিংয়েও সেরা দশে আছেন তাদের তিনজন। এমন বোলিং আক্রমণের মুখোমুখি হওয়াটা টেস্টের নয় নম্বর দলের ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন হওয়ারই কথা। বাজে বল কম পাওয়া যায়, তার ওপর বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে গবেষণা করে চট্টগ্রামে স্টেইন-মরকেলরাও নাকি ধরেছিলেন ভিন্ন পথ। প্রথম টেস্টের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে ইমরুল বললেন, ‘ওরা জানত শর্ট বলে কাজ হবে না। তাই ভালো লাইন-লেংথে বল করে গেছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার গতির সামনে চট্টগ্রামে তামিম-ইমরুলদের পরিকল্পনা ছিল, যত বেশি সময় সম্ভব উইকেটে থাকা। পরের দিকের ব্যাটসম্যানদের জন্য তাহলে কাজটা সহজ হয়ে যায়। ৩০ জুলাই থেকে শুরু ঢাকা টেস্টেও একই লক্ষ্য ওপেনারদের। জানিয়ে দিলেন দলীয় লক্ষ্যটাও, ‘ড্র করতে পারলে সেটাই আমাদের জন্য বড় অর্জন হবে। আগের ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং সবকিছুতেই আমরা ইতিবাচক ক্রিকেট খেলেছি। যদি এবারও পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারি, এই টেস্টেও আমরা ভালো করতে পারব।’
তবে চট্টগ্রামের উইকেট আর ঢাকার উইকেটে পার্থক্য আছে। শেষ পর্যন্ত কোন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামতে হয়, তা আগে থেকে বলা কঠিন। ইমরুলের মতে, ‘সব নির্ভর করছে উইকেটের ওপর।’ চট্টগ্রামের উইকেটে টিকে থাকা গেলেও রান করাটা কঠিন ছিল। ঢাকা টেস্টে তাই সতীর্থদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, ‘উইকেট এবং কন্ডিশন বুঝে খেললেই ভালো হবে।’
ওয়ানডে সিরিজে হারের আগে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিতলেও তাতে ক্ষুধা কমার কথা নয় দক্ষিণ আফ্রিকার। চট্টগ্রাম টেস্ট ড্র হওয়ায় সেটি বরং বেড়েই যাওয়ার কথা। তবে ইমরুল তাতে ভয়ের কিছু দেখেন না। গত কিছুদিনের সাফল্য এসেছে নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলে। এবারও তিনি সেটাকেই পাথেয় করতে চান, ‘আমরা মৌলিক কাজগুলো ঠিকভাবে করছি বলেই হয়তো সফল হচ্ছি। চেষ্টা করব, আগে যে রকম স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলেছি, সেভাবেই খেলে যেতে।’
চন্ডিকা হাথুরুসিংহের আমলে দলের আবহে দারুণ পরিবর্তন দেখছেন ইমরুল। কোচ যে সবাইকে ভয়ডরহীন ক্রিকেটের মন্ত্র দিচ্ছেন, শট খেলায় বিধিনিষেধ আরোপ না করে অফুরান স্বাধীনতা দিচ্ছেন, সবকিছুরই প্রশংসা তাঁর কণ্ঠে, ‘আমার এটাকে খুব ইতিবাচক মনে হয়। দলের আবহ বদলে গেছে। যে-ই আসে, চিন্তা করে পারফর্ম করার। একটা ম্যাচ খারাপ করলে আরেকটা ম্যাচ চাপে থাকে। এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যই ভালো। নতুনরা এসে ক্ষুধার্ত থাকছে ভালো কিছু করার জন্য।’
ক্ষুধাটা আছে ইমরুলেরও। বিশ্বকাপে ব্যর্থতা ভুলেছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনা টেস্টে ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ ১৫০ রান করে। এরপর ভারতের বিপক্ষে ফতুল্লা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭২। এই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও ভালো একটা ইনিংস পাওনা ইমরুলের কাছে। চট্টগ্রামে সেটা পাননি। তাতে কী, ঢাকা টেস্ট তো আছে!
3:24 AM

পিছু ছাড়ছে না বৃষ্টি

চট্টগ্রাম থেকে বৃষ্টি মাথায় উড়ল বিমান। কিন্তু ঢাকার আকাশে পাওয়া গেল ঝলমলে রোদ। পরশু তাই বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা দুই দলই হয়তো ভেবেছিল, ঢাকা টেস্টটা হয়তো নির্ঝঞ্জাটভাবে খেলা যাবে। কিন্তু পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করল সেদিন, অর্থাৎ গত পরশু বিকেল থেকেই।
বাংলাদেশ আর দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সঙ্গে চট্টগ্রামের বৃষ্টিটাও যেন চলে এসেছে ঢাকায়! পরশু রাতে বৃষ্টি হয়েছে, কাল সারা দিনও থেমে থেমে বৃষ্টি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস ঠিক হলে বৃষ্টি তাড়া করবে ঢাকা টেস্টকেও। টেস্ট শুরু আগামী পরশু, বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে পাঁচ দিনই। আজ আর আগামীকাল অনুশীলনেও বৃষ্টি বাগড়া দিতে পারে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কাল দুই দলের অনুশীলনেই যেমন দিল। সকালে বাংলাদেশের অনুশীলন বৃষ্টির জন্য পুরোই ঢুকে পড়ল ইনডোরে। দুপুরের পর দক্ষিণ আফ্রিকা দলের গন্তব্যও হলো সেখানে। নেট প্র্যাকটিসে যাওয়ার আগে ঝিরিঝরি বৃষ্টির মধ্যেই বেশ কিছুক্ষণ ফুটবল খেলে নিলেন আমলারা।
আবহাওয়ার ওপর কারও হাত নেই। বৃষ্টিতে অনুশীলন-খেলা ভেসে যাচ্ছে বলে তাই আক্ষেপ করেও লাভ নেই। কিন্তু এবারের বাংলাদেশ সফরে এখনো যে তৃপ্ত হতে পারছে না দক্ষিণ আফ্রিকা দল! টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ তে জিতলেও ওয়ানডে সিরিজে হার এবং প্রথম টেস্টের ড্রয়ের কারণে এখন পর্যন্ত হতাশার পাল্লাটাই ভারী তাদের। ডিন এলগার তো কাল আক্ষেপের কথাটা বলেই ফেললেন! অনুশীলনের আগে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার বললেন, ‘চট্টগ্রামে যা হলো, আমাদের জন্য তা খুবই হতাশাজনক। এখন তো মনে হচ্ছে, বৃষ্টি আমাদের পিছু নিয়েছে! এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, বৃষ্টির কারণে আমরা অনেক কিছুই করতে পারছি না।’
বর্ষাকালে ক্রিকেট খেলতে গেলে তা-ই তো হওয়ার কথা!
3:21 AM

Monday, July 27, 2015

এক নম্বরে বাংলাদেশ :)

বিশ্ব ক্রিকেটে বাইশ জার্সির মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে টাইগারদের লাল-সবুজের জার্সি। দর্শকদের ভোটে এ জার্সি এখনো শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে।

আশার কথা হলো, দর্শকদের ভোটে ১৭টি জার্সির মধ্যে এখনো শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের জার্সিটি। এই জার্সিতে ভোট পড়েছে ৪৭ হাজার। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তানের জার্সিতে ভোট পড়েছে মাত্র ৩ হাজার ৯০০। তৃতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ার জার্সি ভোট পেয়েছে ২ হাজার ১০০।

বাংলাদেশের লাল-সবুজের জার্সিটিকে সেরা জার্সির মর্যাদায় নিতে চাইলে আপনিও ভোট দিতে পারেন এই লিঙ্কে গিয়ে:


http://www.playbuzz.com/espncricinfo10/cricket-in-colours-whats-your-favourite-team-kit?fb_action_ids=1237384912954535&fb_action_types=og.comments

লিঙ্ক ওপেন করলে রুবেল হোসেনের বিশ্বকাপের একটি ছবি আসবে। ছবির বামপাশে অ্যারো চিহ্ন রয়েছে। ওই অ্যারো চিহ্নতে ক্লিক করলেই আপনার একটি ভোট গৃহীত হবে।

বাংলাদেশ, পাপুয়া নিউগিনি ও স্কটল্যান্ড দলের একটি করে জার্সি প্রতিযোগিতার ভোটিং পোলে স্থান পেয়েছে। তবে ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের দুটি করে জার্সি স্থান পেয়েছে। নিউজিল্যান্ড দলের চারটি জার্সি স্থান পেয়েছে। জনপ্রিয় ক্রিকেট নিউজ পোর্টাল ইএসপিএন ক্রিকইনফো কে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চারটি জার্সি পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের জার্সিটি ভোটিং পোলের জন্য মনোনীত হয়। ইএসপিএন ক্রিকইনফো প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।

বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি। তারা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা একটি করে ভোট দিলে লাল-সবুজের জার্সিটি হতে পারে ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা জার্সি।
12:30 AM

আসছেন জুনিয়র সাকিব!

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান সিরিজ শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেটে আসছে বড় একটা ছুটি। আর এই ছুটির পর আসবে অস্ট্রেলিয়া দল। তবে, সাকিব আল হাসানের ছুটিটা আরেকটু লম্বা হতে যাচ্ছে।
কেন? সাকিবের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির সন্তানসম্ভবা। আর সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে এই বছরের শেষের দিকে, অর্থাৎ অক্টোবর-নভেম্বরে বাবা হতে যাচ্ছেন সাবেক এই অধিনায়ক।
সাকিবের সন্তানের জন্ম হবে যুক্তরাষ্ট্রে। সাকিবের স্ত্রী এরই মধ্যে চলে যাবেন যুক্তরাষ্ট্রে। আর সব কিছু স্বাভাবিক গতিতে চললে সাকিবও ক’দিন পরেই চলে যাবে সেখানে।
সাকিবের সন্তান হওয়ার সময়টাতেই বাংলাদেশে দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে আসবে অস্ট্রেলিয়া। আর সেই সিরিজ না খেলার সিদ্ধান্ত এরই মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) জানিয়ে দিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।
দীর্ঘদিনের প্রেমের পর ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শিশিরের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সাকিব। যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন উম্মে আহমেদ শিশির। পড়াশোনা, মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১০ বছর বয়সে বাবা-মা'র হাত ধরে পাড়ি জমিয়েছিলেন স্বপ্নের দেশে।
- See more at: http://www.priyo.com/2015/Jul/27/159109-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%AC#sthash.HM21CJat.dpuf
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান সিরিজ শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেটে আসছে বড় একটা ছুটি। আর এই ছুটির পর আসবে অস্ট্রেলিয়া দল। তবে, সাকিব আল হাসানের ছুটিটা আরেকটু লম্বা হতে যাচ্ছে।

কেন? সাকিবের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির সন্তানসম্ভবা। আর সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে এই বছরের শেষের দিকে, অর্থাৎ অক্টোবর-নভেম্বরে বাবা হতে যাচ্ছেন সাবেক এই অধিনায়ক।

সাকিবের সন্তানের জন্ম হবে যুক্তরাষ্ট্রে। সাকিবের স্ত্রী এরই মধ্যে চলে যাবেন যুক্তরাষ্ট্রে। আর সব কিছু স্বাভাবিক গতিতে চললে সাকিবও ক’দিন পরেই চলে যাবে সেখানে।

সাকিবের সন্তান হওয়ার সময়টাতেই বাংলাদেশে দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে আসবে অস্ট্রেলিয়া। আর সেই সিরিজ না খেলার সিদ্ধান্ত এরই মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) জানিয়ে দিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।

দীর্ঘদিনের প্রেমের পর ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শিশিরের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সাকিব। যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন উম্মে আহমেদ শিশির। পড়াশোনা, মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১০ বছর বয়সে বাবা-মা'র হাত ধরে পাড়ি জমিয়েছিলেন স্বপ্নের দেশে।
12:22 AM

সাকিব–মুশফিকদের প্রেরণা হয়ে আছেন এক শহীদুর

সব প্রথমের আলাদা একটা আবেদন থাকে। আলাদা আবেগ থাকে। স্মৃতির ডানায় ভর করে সেই প্রথমে ফিরে গেলে অপার্থিব আবেশ ভর করে মনে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে দারুণ এক প্রথমের সঙ্গে জড়িয়ে তিনি। যে প্রথম চিরদিনই অনুপ্রেরণা হয়ে থেকে যাবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। আজ মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ-সাকিব-সৌম্যরা যত কীর্তি গড়েন, সেগুলোর পথপ্রদর্শক হয়ে থাকেন একজন শহীদুর রহমান। হ্যাঁ, দেশের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচের সর্বোচ্চ স্কোরার তিনি।

শহীদুর রহমান নামটি খুব পরিচিত হয়তো নয় এই প্রজন্মের কাছে। আজ থেকে ২৯ বছর আগে ১৯৮৬ সালের ৩১ মার্চ এশিয়া কাপের ম্যাচে ইমরান খান, আবদুল কাদির, ওয়াসিম আকরামদের পাকিস্তানের বিপক্ষে শহীদুরের ব্যাট থেকে এসেছিল সর্বোচ্চ ৩৭ রান। সে সময়কার প্রেক্ষাপট বিচার করুন। দেশের প্রথম ওয়ানডে, প্রতিপক্ষে ইমরান, কাদির, আকরামদের মতো বোলার। দলের ইনিংসই শেষ হয়ে গেছে ৯৪ রানে, সে বিচারে ৩৭ রান কিন্তু অনেক কিছুই। সেদিন সেই বড় ব্যাপারটিই করে দেখিয়েছিলেন এই শহীদুর। বিশ্ব সেরা বোলারদের বিপক্ষে বুক চিতিয়ে লড়ে পথ দেখিয়েছিলেন বাকিদের। পথ দেখিয়েছিলেন আগামী প্রজন্মকেও। দুনিয়াকে জানিয়ে এসেছিলেন এদেশের ক্রিকেটের আগমনী বার্তা। আজ অনেকটুকু পথ এগিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের ক্রিকেট শ্রদ্ধাবনত চিত্তে পেছনে ফিরে তাকায় তার শুরুর নায়কদের দিকে।

শুরুর অন্যতম নায়ক শহীদুর রহমানের আবাস চট্টগ্রামে। তাঁর কাছে প্রথম ওয়ানডের স্মৃতিগাথা শুনতে চাইলে বেশ খুশিই হলেন। আমন্ত্রণ জানালেন এমএ আজিজ স্টেডিয়াম-সংলগ্ন নিজের মালিকানাধীন রেস্তোরাঁ রয়েল হাটে। আড্ডার জন্য অসাধারণ সেই রেস্তোরাঁয় বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় স্মৃতির ঝাঁপি মেলে দিলেন তিনি। বললেন, শামীম কবির ভাই, রকিবুল ভাই, আশরাফুল ভাইদের হাত ধরেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের পথচলার শুরু। এরপর মশালটা এল আমাদের হাতে। পরে আকরাম-আমিনুলদের হাত ঘুরে বর্তমান প্রজন্মের কাছে এটি পেয়েছে পরিপূর্ণতা। আজকের ক্রিকেটের উন্নতি নাকি এক অদ্ভুত ভালো লাগার অনুভূতি ছড়িয়ে দেয় তাঁর নিজের মনে।

২৩ বছর বয়সে ডাক পেয়েছিলেন জাতীয় দলে। তাও আবার ঐতিহাসিক এক মুহূর্তের সঙ্গী হয়ে। শ্রীলঙ্কার মোরাতুয়ায় এশিয়া কাপের ওই ম্যাচটির অংশ হতে পারার গৌরব ছিল অন্যরকমই, দেশের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ। এর অংশ মানেই ইতিহাসের অংশ হয়ে যাওয়া। রোমাঞ্চও কম ছিল না। নিজেই বললেন, ইমরান খান, জাভেদ মিয়াঁদাদ, আবদুল কাদির, মহসিন খান, মুদাস্‌সর নজররা তখন বিশ্ব ক্রিকেটের প্রতিষ্ঠিত তারকা। সেই দলে ওয়াসিম আকরাম উঠতি তারকা। আমরা খুবই রোমাঞ্চিত ছিলাম এই ম্যাচটা নিয়ে।

সে ম্যাচে ইমরান খান-ওয়াসিম আকরামদের মতো বোলারদের খেলতে এতটুকু বুক কাঁপেনি? কীভাবে ডাকাবুকো সব বোলারদের সামলে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করলেন? শহীদের চোখে-মুখে তারুণ্যের অজেয় ভাবটা ফুটে উঠল ভালোভাবেই, ‘ভয় পাব কেন? যদিও ইমরান খানের নেতৃত্বে পাকিস্তান তখন এশিয়ার জায়ান্ট। আমরা পুঁচকে একটা দল। এখন একজন বোলার-ব্যাটসম্যানকে নিয়ে কতভাবে বিশ্লেষণ হয় ম্যাচের আগে। অথচ কোনো ধারণা ছাড়াই সরাসরি ইমরান-ওয়াসিমের মতো বোলারদের সামলাতে হলো। তবে ভেতরে কোনো স্নায়ুচাপ বা ভয় কাজ করেনি। বয়সও কম ছিল। লক্ষ্য ছিল বল আসবে, খেলব। হলে হবে, না হলে নেই। হারানোর যেহেতু কিছুই ছিল না, ভয় পাওয়ারও প্রশ্ন ওঠে না।’ সেদিন ব্যাটিংয়ের সময়ে শহীদকে নাকি কিছুটা স্লেজিং করেছিলেন জাভেদ মিয়াদাঁদ, ‘যখন ব্যাটিং করছিলাম স্লিপ থেকে জাভেদ মিয়াঁদাদ উর্দুতে কিছু বলছিল। তবে ভাষাটা ঠিক বুঝিনি।’
বর্তমান সময়ে একজন উঠতি ক্রিকেটারদের সামনে যেমন আদর্শ হিসেবে থাকেন মাশরাফি-সাকিব-তামিম-মুশফিকরা; তখন শহীদুর রহমানদের সামনে ছিলেন না কেউ। ছিল না তেমন অবকাঠামোগত সুবিধা, অ্যাকাডেমির ব্যবস্থা। ছিল না টিভিতেও অন্য দলের খেলা দেখারও খুব একটা সুযোগ।
কঠিন সেই দিনগুলোর কথা যেন জীবন্ত হয়ে উঠল শহীদুর রহমানের চোখে, ‘আশির দশকে ম্যাটিং উইকেটে খেলতাম। আন্তর্জাতিক ম্যাচ তো ম্যাটিং উইকেটে হয় না। আসলে ক্রিকেট খেলতাম শখের বশেই। পড়াশোনার পাশাপাশি সময় কাটাতেই ক্রিকেট চালিয়ে নেওয়া। ফুলটাইম কাজ হিসেবে ক্রিকেটকে বেছে নেওয়া কঠিনই ছিল। সিরিয়াস ক্রিকেটে খেলেছি অনেক পরে এসে।’

খেলোয়াড়ি জীবনে নিয়মিত নামতেন চারে। আক্রমণাত্মক খেলতে ভালোবাসতেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে সে ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেট ছিল তাঁরই। তবে ইনিংসটি নিয়ে খানিকটা আক্ষেপ শহীদের কণ্ঠে, ‘রক্ষণাত্মক খেলা আমার ধাঁচে ছিল না। ইনিংসটা ফিফটি ছাড়িয়ে যেতে পারত। আগের দিন প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়েছিল। সে সময় এখনকার মতো স্টেডিয়ামে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত ছিল না। আউটফিল্ড ছিল কিছুটা ভেজা, কর্দমাক্ত। আমার ছয়-ছয়টা পুল শট ডিপ মিডউইকেটে পড়ে আটকে গিয়েছিল। ওই পজিশনে কোনো ফিল্ডারও ছিল না। আউটফিল্ড শক্ত থাকলে নিশ্চিত চার। চার গুলো হলে আমার ব্যক্তিগত সংগ্রহটা ৬০-৬৫ রান হয়ে যেতো। হয়তো সেদিনই দেশের হয়ে প্রথম ফিফটিটা হয়ে যায় আমারই।’

স্মৃতিচারণা করতে করতেই শহীদুর জানিয়ে দিলেন অন্যরকম একটি তথ্যও। দেশের হয়ে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে কোনো ম্যাচ ফি পাননি বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। আইসিসির দেওয়া অ্যাপিয়ারেন্স মানি ৫০ হাজার ডলারের প্রায় পুরোটাই নিজেদের কোষাগারে জমা করেছিল সে সমকার বোর্ড। এটা ছাড়া তাদের কোনো উপায়ও ছিল না। সরকারি অনুদানের দয়ায় চলত সে সময়কার বোর্ড। এশিয়া কাপের ঠিক দুমাস পরই ইংল্যান্ডে আইসিসি ট্রফি খেলতে যাওয়ার কথা ছিল। বোর্ড সেই ৫০ হাজার ডলারের পুরোটাই কাজে লাগিয়েছিল ইংল্যান্ড যাওয়ার খরচ সামলাতে।

শহীদুর রহমান অবশ্য একদিক দিয়ে বেশ ভাগ্যবানই। তিনি নিজেই জানালেন সেই সৌভাগ্যের কথা, ‘দলের অন্য খেলোয়াড়দের কেউই কোনো ম্যাচ ফি পায়নি। তবে সর্বোচ্চ ৩৭ রানের ইনিংসটি খেলায় তৎকালীন বোর্ড সভাপতি কে, জেড ইসলাম আমাকে ৩০০ ডলার দিয়েছিলেন। আমি সেই টাকাটা সবার মধ্যে ভাগ করে দিয়েছিলাম।’

পরের ওয়ানডেতেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছিলেন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান। ওই দুটো ওয়ানডের পর আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হয়নি শহীদের। ক্যারিয়ারের ইতি টানতে হয়েছে একটু আগেভাগেই। স্বপ্নের সীমা কেন এতটুকু সীমাবদ্ধ থাকল? দুই সন্তানের জনক, বর্তমানে সফল এ ব্যবসায়ী বললেন, ‘স্বপ্ন বড় হবে কী; দেখার আগেই তো শেষ! আসলে সামনে কোনো লক্ষ্য ছিল না। এখন একজন খেলোয়াড় লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারে। ভাবে, দুই তিন বছর নিয়মিত জাতীয় দলে খেলতে পারলেই কোটি টাকা আয় করা যাবে। আমাদের সময় তা ছিল না। নিজের চলার টাকাটা জোগাড় হলেই খুশি। ক্রিকেট খেলেছি কেবল ভালোবাসা থেকেই। তবে একটা সময় মনে হলো ক্রিকেটে ভবিষ্যৎ গড়া কঠিন। এ কারণে খেলা ছেড়ে ব্যবসায় যুক্ত হলাম। এখন ক্রিকেটকে পৃষ্ঠপোষকতা করি। ক্রিকেটের সঙ্গে নানাভাবেই আছি।’

আলাপ জমে ওঠে দারুণভাবে। বৃষ্টিমুখর বিকেলটা কীভাবে দ্রুত যেন কেটে যায়। সোনালি অতীতের নানা গল্প শেষে শহীদুর রহমানকে উঠতে হয়। ছুটতে হয় সামনের দিকে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটও এখন ছুটছে সামনের দিকে। তবে ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা শহীদুর রহমানরা বিস্মৃত হন না কখনোই, তাঁদের বিস্মৃত হওয়া মানে যে নিজেদের শিকড়কেই অস্বীকার করা।

12:17 AM

Sunday, July 26, 2015

বৃষ্টি নয়, বাংলাদেশ চায় লড়াই করে প্রমাণের সুযোগ


     


ঝুম বৃষ্টি গত রাত থেকেই। থামার নাম নেই! সারাটা দিন বিরামহীন বৃষ্টি। দুপুর একটার দিক বাংলাদেশ দল যাও-বা এল মাঠে। দক্ষিণ আফ্রিকা তো হোটেল থেকেই বেরোল না। ম্যাচটা খেলতে বাংলাদেশের ‘তাড়া’ যে বেশি।
একে তো বাংলাদেশ টেস্ট খেলার সুযোগ পায় কম। র‍্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দলের বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ তো আরও দুর্লভ। বড় প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলেই তো নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে হয়। আর সেই লড়াইয়ের সুযোগটাই চায় বাংলাদেশ। বৃষ্টিতে একটা দিন ভেসে যাওয়া মানে বাংলাদেশের সেই প্রমাণের সুযোগ হাতছাড়া হওয়া।
চট্টগ্রাম টেস্টের ভাগ্য এরই মধ্যে লেখা হয়ে গেছে প্রায়। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, আগামীকালও থাকতে পারে বৃষ্টির বাগড়া। এ পরিস্থিতিতে ম্যাচটা যে ড্রয়ের দিকে যাচ্ছে, বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। বর্ষার এ ঝুম বৃষ্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিক্রিয়া জানা না-গেলেও বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেল। দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ জানালেন, বৃষ্টি বাগড়ায় তাঁরা রীতিমতো হতাশ।
বাংলাদেশ দল মাঠে এলেও কেউ ব্যাট-বলের কাছে গেলেন, কেউ-বা গেলেন না। স্টেডিয়াম-সংলগ্ন সিটি করপোরেশনের মসজিদে জুমার নামাজ আদায় শেষে কেউ ফিরে গেলেন হোটেলে। কেউ ঘাম ঝরালেন ইনডোরে। তাইজুল ইসলাম, মোহাম্মদ শহিদ, জুবায়ের হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে ইনডোরে ঘণ্টাখানেক অনুশীলন করলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
দলের প্রতিনিধি হয়ে টিম হোটেলেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেন ম্যানেজার। মাহমুদ জানালেন নিজেদের হতাশার কথা, ‘একটু তো খারাপ লাগছেই। লড়াইটা জমজমাট ছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে জমজমাট লড়াইটা ড্রয়ের দিকে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা এ টেস্টে ভালো খেলেছি। গতকাল পর্যন্ত এই টেস্টে আমরা এগিয়ে ছিলাম। এখন বৃষ্টির কারণে দুই দলই সমান অবস্থানে। আকাশের যা অবস্থা তাতে আগামীকাল খেলা নাও হতে পারে। ম্যাচ হয়তো ড্রয়ের দিকে যাচ্ছে। তবে সত্যি বলতে আমরা হতাশ।’
যেহেতু বর্ষা মৌসুমে সিরিজের আয়োজন, বৃষ্টি বাগড়া দেবেই। এখানে বাংলাদেশের করণীয় সামান্যই। কেননা, সিরিজ আয়োজনে তাকিয়ে থাকতে হয় বড় দলগুলোর সূচির দিকে। বৃষ্টির সময়ে খেলা আয়োজনের ব্যাখ্যা হিসেবে মাহমুদ বললেন, ‘বৃষ্টির মৌসুমে খেলার কারণ বড় দলগুলোর খেলার সময় সূচি মিলিয়েই আমাদের খেলার সময় নির্ধারণ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে কিছু করার থাকে না আমাদের।’
এই বৃষ্টি অনেকবার ‘হাসি’ ফুটিয়েছে বাংলাদেশ দলের মুখে। কখনো কখনো বড় লজ্জা থেকে বাঁচিয়েছেও। কিন্তু এখন যে দিন বদলের গান বাংলাদেশ ক্রিকেটে। বেদনার্ত অতীত পেছনে ফেলে দৃষ্টি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে। এ কারণেই তো বাংলাদেশ টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দলের বিপক্ষে লিড নেয়। খেলতে না পারলে ‘হতাশা’ ব্যক্ত করে!
‘আয় বৃষ্টি ঝেঁপে’ নয়, বাংলাদেশ দলের ছড়াটা এখন ‘নেবুর পাতার করমচা, যা বৃষ্টি চলে যা!’

12:17 PM

টুইটের ব্যাখ্যা দিলেন হাফিজ

গতকাল মোহাম্মদ হাফিজের একটি টুইট নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। যে টুইটে পাকিস্তানের এই ব্যাটসম্যান লিখেছিলেন, ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আসলে নয়টি দল থাকা উচিত। কারণ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সকে আমাদের বাহবা দিতেই হবে।’
এমনিতে টুইটে লিখতে হয় ছোট করে। হাফিজের বক্তব্য তাই বিভ্রান্ত করেছিল অনেককে। রিটুইটে হাফিজের কড়া সমালোচনাও করছিলেন অনেকে। এর পর গতকাল রাতে আরও একটি টুইট করেন হাফিজ। সেখানে ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের​ স্ক্রিনশটের ছবি দিয়ে হাফিজ লিখেছেন, ‘আইসিসির ওয়ানডে র‍্যা​ঙ্কিংটা বিবেচনা করলে ৯টি দলেরই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা উচিত। যেখানে প্রত্যেক দল একে অন্যের সঙ্গে একটি করে ম্যাচে মুখোমুখি হবে।’ টুইটের শেষে হাফিজ ‘রেসপেক্ট’-এর হ্যাশ ট্যাগও দিয়েছেন।
হাফিজের আগের টুইটটির পর তাঁর অনুসারীদের অনেকেই সেখানে মন্তব্য করেন। অনেকেই বলেন, এমন তো নয় বাংলাদেশ দল নয় নম্বরে আছে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা পাচ্ছে না। বরং বাংলাদেশ এখন আছে সাতে, ছয়ে থাকা ইংল্যান্ডের ঘাড়ে নিশ্বাসও ফেলছে। পাকিস্তানেরই বরং জায়গা পাওয়া অনিশ্চিত ছিল।
সমালোচনার মুখে পরবর্তী টুইটে হাফিজ ছবিসহ ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাঁর বক্তব্যের।
10:19 AM

আইসিসির বাছাই পর্বেই তো বড় গলদ!

পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত? বাদ পড়ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ? আসলেই কি তা-ই?
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলার আগেই র‍্যাঙ্কিংয়ের আট নম্বর জায়গাটি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নয় নম্বরে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনাও তাদের নেই। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে থাকা আটটি দলই খেলবে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।
শ্রীলঙ্কাকে ৩-১ সিরিজ হারিয়েই পাকিস্তানের নিশ্চিত হয়েছে আট নম্বর জায়গাটি। আর সঙ্গে সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের সঙ্গে প্রস্তাবিত ত্রিদেশীয় সিরিজটাও বাতিল করেছে করেছে পাকিস্তান। শুধু কি ত্রিদেশীয় সিরিজ, এখন জিম্বাবুয়ে সফরেও তারা যেতে রাজি নয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজও যে তাদের ফেলে দিতে পারে ঝামেলায়!
শ্রীলঙ্কার কাছে আজকের শেষ ম্যাচটি যদি তারা হারে, এর পর জিম্বাবুয়ের কাছে তিন ম্যাচের দুটিতেও হারত, তখন আবার নয়ে নেমে যেত পাকিস্তান। কদিন আগে জিম্বাবুয়ে পাকিস্তানে এসে প্রতিটা ম্যাচেই দারুণ খেলেছে। ভারতের বিপক্ষে হোম সিরিজেও ছিল লড়াইয়ের ছাপ। একটা টি-টোয়েন্টিতে তো ভারতকে হরিয়েও দিল। এই অবস্থায় কেন ঝুঁকি নেবে পাকিস্তান?
কিন্তু তবুও কি পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিশ্চিত? একটা গাণিতিক সমীকরণ হিসাব করুন। ধরুন বাংলাদেশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রস্তাব দিল, ‘এসো আমরা সেপ্টেম্বরের শুরুতে একটা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলি।’ ওই সময় বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোনো দলেরই খেলা নেই। ধরে নিন, বাংলাদেশ রাজিও হয়ে গেল। এবং শুধু ধরে নেওয়ার স্বার্থে ধরে নিন, বাংলাদেশ সিরিজটা ২-১-এ হারল। তখন কী দাঁড়াবে সমীকরণ?
পাকিস্তান যদি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩-২-এ সিরিজ জেতে, এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি বাংলাদেশের বিপক্ষে কল্পিত এই সিরিজটা ২-১ জেতে; তখন বাদ পড়ে যাবে পাকিস্তানই! পাকিস্তানের রেটিং পয়েন্ট হবে ৯০, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৯১, বাংলাদেশের ৯৩। আবারও র‍্যাঙ্কিংয়ে ওলট-পালট! আবারও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নতুন সমীকরণ!
আইসিসির বাছাই পর্ব প্রক্রিয়াটি কতটা ত্রুটি আছে সেটি বোঝানোর জন্যই এত কিছু শুধু এই জন্যই বলা। এবং এ ধরনের খেলার বাইরে ‘খেলা’ চলতে পারে আগামী বিশ্বকাপকে সামনে রেখে। শঙ্কাটি এখানেই। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি স্রেফ উদাহরণ মাত্র।
র‍্যাঙ্কিংয়ের ছয় থেকে নয়—এই চারটি দলের মধ্যে রেটিং পয়েন্টের ব্যবধান এখন মাত্র ১০। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শীর্ষ আট দলের নাম সরাসরি লেখা হয়ে যাবে বিশ্বকাপে। নয় ও দশে থাকা দুটো দলকে খেলে আসতে হবে বাছাই পর্ব। ছয় থেকে নয়—এই চারটি দলের বর্তমান এই ব্যবধান যদি একই রকম থাকে, তাহলে এই চারটি দলই নানা হিসাব কষবে নিজেদের ‘সেফ জোন’-এ রাখতে।
আইসিসি বলছে, বিশ্বকাপ সরাসরি খেলতে হলে থাকতে হবে সেরা আটে। এই সেরা আট নির্ধারণ করে দেবে যে র‍্যাঙ্কিং। এই র‍্যাঙ্কিং নির্ধারিত হবে ম্যাচ খেলে। কিন্তু কে কার সঙ্গে কতটা ম্যাচ খেলবে, সেটি এখন আর সুনির্দিষ্ট করা নেই। যে কেউ যেকোনো সময়ে যে কারও সঙ্গে খেলতে পারে। এই নিয়মটা যে কত বড় ভুলের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, সেটাই চোখে আঙুল তুলে দেখিয়ে দিল গত কয়েক দিনের ক্রিকেটীয় ঘটনাগুলো।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান মিলে ত্রিদেশীয় সিরিজটা খেললে যেমন ছিটকে পড়ার শঙ্কা ছিল বাংলাদেশের, এখনো যেমন বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ খেললে ছিটকে পড়তে পারে পাকিস্তান। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর যত ঘনিয়ে আসবে, ততই এ ধরনের ‘ছিটকে পড়া’ আর ‘ছিটকে ফেলা’র সমীকরণ চলবেই।
বাংলাদেশের সামনে আপাতত দুটো পথ খোলা। প্রথমত, নিজেদের আরও ওপরে নিয়ে গিয়ে অবস্থান সুরক্ষিত করা। প্রথম পথের সমস্যা হচ্ছে এই সময়ের মাঝে শীর্ষ নয় দলের তুলনায় বাংলাদেশের খেলা ম্যাচের সংখ্যা। এই সময়ে বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সিরিজে মাত্র ১৭টি ওয়ানডে খেলবে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশগ্রহণ বাড়তি কিছু ওয়ানডে খেলার নিশ্চয়তা দিচ্ছে বটে, কিন্তু ওই ১৭ ওয়ানডের ৫টি জিম্বাবুয়ের সঙ্গে। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে জিতলেও বাংলাদেশের পয়েন্ট খুব বেশি বাড়বে না, উল্টো একটি পরাজয় পিছিয়ে দেবে অনেক। বাকি ১২টি ওয়ানডের ছয়টি আবার খেলতে হবে গত বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, তাদেরই মাটিতে। সুতরাং বাংলাদেশের সামনে বেশ কঠিন সমীকরণ।
দ্বিতীয় পথটি হলো, ক্রিকেটীয় কূটনীতিতে বাংলাদেশের বেশ কিছু অনির্ধারিত হোম সিরিজ আয়োজন করা। তবে সব কিছুই করতে হবে অনেক হিসেব কষে। চোখ রাখতে হবে র‍্যা​ঙ্কিংয়ের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীদের সিরিজ ও পরিকল্পনার দিকেও। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন আজ প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিশ্চিত করা। সেটি নিশ্চিত হয়েছে। এর পর আমরা পরের ধাপগুলো নিয়ে ভাবব। বিষয়টি বেশ ভালোভাবেই আমাদের পরিকল্পনায় আছে।’
আইসিসির এই ত্রুটিপূর্ণ বাছাই পর্বের নিয়মটাই ক্রিকেট বিশ্বকে ‘ফেয়ার প্লে’ বা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ থেকে ছিটকে দিতে বাধ্য করছে। যেখানে মাঠের শক্তির পাশাপাশি ভাগ্য অনেকটাই নির্ভর করছে কূটনৈতিক ক্ষমতার ওপরও। সমর্থকদের সবচেয়ে বড় আশঙ্কাটি হলো, উভয়েরই স্বার্থ আছে এমন দুটো দল যদি পাতানো সিরিজ আয়োজন করে, ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেট না শেষ পর্যন্ত কদর্য রূপ নেয়!
7:47 AM

মুস্তাফিজের অনন্য ইতিহাস

ক্রিকেটের দুই ফরম্যাটে অভিষেকে সেরা হওয়ার কীর্তি আছে কেবল আরেকজন ক্রিকেটারের। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অভিষেকে ম্যান অব দা ম্যাচ হয়েছিলেন ইলিয়াস সানি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আঙিনায় আবির্ভাবেই একের পর এক চমক উপহার দিতে থাকা মুস্তাফিজ আরও একবার উঠলেন নতুন উচ্চতায়। গত ১৮ জুন ওয়ানডে অভিষেকে ভারতের বিপক্ষে ৫০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে যাত্রা শুরু টেস্টের ভুবনে। এবার ৫ উইকেট পাননি। তবে অভিষেকে প্রথম বাংলাদেশী বোলার হিসেবে নিয়েছেন এক ওভারে ৩ উইকেট। পরে ইনিংসের শেষ উইকেটটিও নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে মুড়ে দিয়েছেন আড়াইশর নিচে।
বৃষ্টিতে শেষ দুই দিন খেলা না হওয়ায় ড্র টেস্টে ব্যাটে-বলে ভালো করেছেন বেশ কজনই। তবে সবচেয়ে বেশি আলো ছড়িয়েছেন অভিষিক্ত মুস্তাফিজই। ৩৭ রানে ৪ উইকেট তাকে এনে দিয়েছে ম্যাচসেরার সম্মান। আর তাতেই ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রথম টেস্ট ও ওয়ানডে অভিষেকে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হলেন কোনো ক্রিকেটার।

আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের যে কোনো দুই ফরম্যাট ধরলে মুস্তাফিজের আগে ছিলেন শুধু সানি। ২০১১ সালে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বের অভিষেকের ম্যাচে এই চট্টগ্রামেই  ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংনে ৯৪ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন সানি। সেই টেস্টেরও দুই দিন গিয়েছিল বৃষ্টির পেটে। প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে এগিয়েছিল বাংলাদেশ, বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শেষ পর্যন্ত হয়েছিল ড্র। ম্যাচসেরা হয়েছিলেন সানি।

ওই বছরই ওয়ানডে অভিষেকে সানি পেয়েছিলেন ১ উইকেট। তবে আবার চমকে দেন তিনি টি-টোয়েন্টি অভিষেকে। ২০১২ সালে জুলাইয়ের বেলফাস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে এখনও সেটি বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।

সানি ও মুস্তাফিজ ছাড়া টেস্ট অভিষেকে বাংলাদেশের হয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন আর কেবল দুজন। দুজনই ব্যাটসম্যান এবং সেই দুজনও গড়েছিলেন ইতিহাস। ২০০১ সালের এপ্রিলে বুলাওয়েতে টেস্ট অভিষেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৬২ রান করেছিলেন জাভেদ ওমর বেলিম, দ্বিতীয় ইনিংসে আদ্যন্ত ব্যাট করে ৮৫ রান করে হয়েছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। আর সবচেয়ে কম বয়সে শতক করে মোহাম্মদ আশরাফুলের ম্যাচ সেরা হওয়ার ঘটনা প্রায় সবারই জানা।

টেস্ট ক্রিকেট ১৮৭৭ সাল থেকে শুরু হলেও টেস্টে ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার নিয়মিত দেওয়া শুরু হয়েছে ১৯৮০-এর দশকে।

7:20 AM

Rankings t20











Rank










Team










Matches





 




Points










Rating
1 Sri Lanka 13 1760 135
2 Australia 16 1953 122
3 India 12 1413 118
4 West Indies 17 1994 117
5 Pakistan 20 2277 114
6 South Africa 21 2336 111
7 New Zealand 16 1706 107
8 England 16 1653 103
9 Afghanistan 12 926 77
10 Bangladesh 10 733 73
11 Hong Kong 7 503 72
12 Scotland 10 661 66
13 Netherlands 14 859 61
14 Zimbabwe 9 509 57
15 Ireland 10 422 42
6:05 AM

Rankings odi

Rank Team Matches Points Rating
1 Australia 38 4889 129
2 India 51 5875 115
3 New Zealand 42 4710 112
4 South Africa 49 5360 109
5 Sri Lanka 59 6064 103
6 England 47 4592 98
7 Bangladesh 34 3253 96
8 Pakistan 49 4434 90
9 West Indies 35 3094 88
10 Ireland 11 549 50
11 Zimbabwe 33 1420 43
12 Afghanistan 15 618 41
6:01 AM

Rankings

Rank Team Matches Points Rating
1 South Africa 21 2738 130
2 Australia 26 2894 111
3 Pakistan 24 2419 101
4 New Zealand 29 2875 99
5 India 23 2242 97
6 England 30 2920 97
7 Sri Lanka 25 2307 92
8 West Indies 26 2101 81
9 Bangladesh 19 783 41
10 Zimbabwe 10 53 5
6:00 AM

Photos






















5:57 AM